উৎপাদন পর্যায়ে সরকারের নির্ধারিত দরে ডিম কিনতে না পারায় এবং সঠিক ক্রয় ভাউচার না দেওয়ায় চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর ডিমের আড়তগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের আড়তগুলোতে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দেয় তারা।
পাহাড়তলী ডিম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খামারি ও মধ্যস্বত্বভোগী এই দুই ধাপ অতিক্রম করে চট্টগ্রামের আড়তদারগুলোতে পৌঁছে ডিম। তাই বিভিন্ন হাত বদলে সরকার নির্ধারিত দামে উৎপাদন পর্যায়ে ডিম কিনতে পারছে না আড়তদাররা।
খামারিদের কাছ থেকে সঠিক মূল্যে কোন ভাউচার দেওয়া হয় না। কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই ভাউচারের বাইরে বাড়তি মূল্য নেওয়া হয়। যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি খুচরা পর্যায়ে। উৎপাদন পর্যায়ে তদারকির আহবান তাদের।
চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর লিটন জানান, বাড়তি দামে বিক্রি করার অভিযোগে ডিমের আড়তদারদের বার বার জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দরে উৎপাদন পর্যায়ে আমরা কিনতে পারছি না।
খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা সরকারি দামে কিনতে পারছি না বিক্রি করতেও পারছি তাই ডিম বেচা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। উৎপাদক পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি না করলে ডিমের দামে কামানো সম্ভব হবে না।
আমাদের কাছে উৎপাদক পর্যায়ে যে ভাউচার দেওয়া হয় তা প্রকৃত দরের অনেক কম অর্থাৎ ভাউচারের লিখিত দরের বাইরে আড়তদারদের কাছে বাড়তি মূল্য নেওয়া হয় কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই। অন্যদিকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার পক্ষে থেকে তদারকি দরকার।
কারণ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে অনেক শেড থাকার তাদের উৎপাদক ব্যয় কম হয় তারা চাইলে কম দরে বাজারে ডিম ছাড়তে পারে। কর্পোরেট হাউজগুলো ডিমের দাম কমে দিলে ছোট ছোট খামার পর্যায়ে কমে যাবে।