চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরীর হালিশহর টিজিতে ডিসেম্বরের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ও ধোঁয়াবিহীন ইন্সেনেরেটর বসানো হবে। চসিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত এর তদারকি করবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম। খবর বাসসের।
জাইকার ডেপুটি টিম লিডার প্রকৌশলী মো. গোলাম সারোয়ারের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাইকার এসডব্লিউএম প্রজেক্টের টিম লিডার মাসহিরো সাইতো, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল আজাদ, এডিসি ট্রাফিক (দক্ষিণ) মো. রইস উদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী, ডিএসকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সমিতির সমন্বয়কারী অসিত দে, চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার ম্যানেজার মো. ইসমাইল, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরিবেশসম্মত উপায়ে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে উঠেনি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংক্রমণজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি নগরবাসীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিক ও জাইকার অর্থায়নে বর্জ্য ইন্সেনেরেটর বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু ইন্সেনেরেটর ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
জাইকার টিম লিডার মাশাহিরো সাইতো বলেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে জাইকা চসিকের সাথে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রী আর বা রি-সাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ইন্সেনেরেটর স্থাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাইলটিং প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রোগ্রাম সফল হলে সারাদেশে কর্পোরেশনগুলোতে এই কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে।