চট্টগ্রামে মামলার তথ্য হালনাগাদে ডাটাবেজ

কাজ করছে পরিবেশ অধিদপ্তর

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

পুরোনো মামলার তথ্য হালনাগাদে ডাটাবেজ তৈরি করছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও মহানগর কার্যালয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম পরিবেশ ভবনের সম্মেলনকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর সংক্রান্ত সেবা, সমস্যা ও সমাধান সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এতথ্য জানান।
চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক ইশরাত রেজার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন। এ সময় জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন, মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নাগরিক সেবা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। এ সময় ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে সরাসরি বক্তব্য শুনেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক। পাশাপাশি অভিযোগের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে অবগত হন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর স্বল্প সুযোগের মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে আর কোনো সনাতন ইটভাটা আর থাকবে না। আধুনিক পদ্ধতির ইটভাটা তৈরিতে উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনেক এনফোর্সমেন্ট নিয়ে বড় বড় প্রভাবশালীরা ফোন করে বসেন। তারপরেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব এনফোর্সমেন্টের মামলায় ক্ষতিপূরণ আরোপ করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে আপিল হলে অনেক ফাইল গায়েব হয়ে যায়। পরে আপিল হওয়া মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও একবছর আগের আপিল ফাইল অনিষ্পন্ন হয়ে পড়ে থাকে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পরিবেশ ভবনে চারটি কার্যালয় রয়েছে। জনবল সংকট থাকলেও পদায়িত কর্মকর্তাদের বসার স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ভবন নির্মাণে এক একর জায়গার জন্য ২০১৬ সাল থেকে রেলওয়ের সাথে অনেক দেনদরবার চলছে। নতুন ভবনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি।
সভায় গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক ইশরাত রেজা মহানগর কার্যালয়ে অনুমোদিত জনবলের ২৩টি পদ শূণ্য রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দূষণের বিষয়ে নেগেটিভ প্যারামিটার পেয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাকে ধরতে অভিযান তার নেতৃত্বেই পুলিশের ওপর হামলা
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার ৫টি নতুন মিউটেশন শনাক্ত