চট্টগ্রামে মাদক মামলায় বৃদ্ধাকে প্রবেশনে মুক্তি

| মঙ্গলবার , ১৪ মে, ২০২৪ at ৪:২৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় মোছাম্মৎ শাহা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মে) এই আদেশ দেন চট্টগ্রাম জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সেলিম মিয়া।

জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত এই বৃদ্ধা একজন প্রবেশন অফিসারের আওতায় থাকবেন। প্রতি ২ মাস অন্তর আদালতে রিপোর্ট দিবেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার স্থায়ী বসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মূল মামলায় ওনার বিরুদ্ধে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সাজার বিকল্পে প্রবেশনে দেওয়া হয়েছে। ঐ বৃদ্ধা প্যারালাইসিস রোগী। রোগ আর বৃদ্ধার বয়স বিবেচনায় মাদক মামলায় ৫ বছর সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় ঐ বৃদ্ধা আদালতে হাজির ছিলেন। কিন্তু তিনি ট্রলিতে এসেছিলেন আদালতে। এই রায়ের কারণে তাকে জেলে যাতে হবে না, বাইরে থাকবেন। ২ বছর তিনি তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারবেন। তবে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন ঐ বৃদ্ধা। প্রতি ২ মাস অন্তর আদালতে রিপোর্ট দিবেন প্রবেশন অফিসার।

আদালতে সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে অন্য আরেকজনসহ ঐ বৃদ্ধা ১০১ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আটক হয়েছিলেন ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে। পরে তদন্তে শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ঐ বৃদ্ধার বিরুদ্ধে সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দিলেও অন্য আসামির বিরুদ্ধে ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। তবে মামলার অন্য আসামি পলাতক রয়েছনি। তার সাজা পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।

মূলতঃ প্রবেশন বলতে বুঝায়, কোন অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে কারাবন্দী না রেখে বা কোন প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ প্রদান করাকে বুঝায়। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে আইনের সাথে সংঘর্ষে বা সংস্পর্শে আসা শিশু-কিশোরেরা বা অন্য কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তিকে প্রথম ও লঘু অপরাধের দায়ে কারাগারে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে না রেখে আদালতের নির্দেশে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে এবং শর্ত সাপেক্ষে তার পরিবার ও সামাজিক পরিবেশে রেখে কৃত অপরাধের সংশোধন ও তাকে সামাজিকভাবে একিভূত করণের সুযোগ দেয়া হয়।

প্রবেশন একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সংশোধনী কার্যক্রম। এটি অপরাধীর বিশৃঙ্খল ও বেআইনি আচরণ সংশোধনের জন্য একটি সুনিয়ন্ত্রিত কর্ম পদ্ধতি। এখানে অপরাধীকে পুনঃঅপরাধ রোধ ও একজন আইনমান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য সহায়তা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহিষ চুরির চেষ্টায় আনোয়ারায় রাখালের উপর হামলা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল