চট্টগ্রামে ভাসানী বললেন, এমন একতা আগে কখনো দেখিনি

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ at ৪:২৩ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চের সপ্তদশ দিন। রক্তঝরা একাত্তরের এদিনও শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের আলোচনার পাশাপাশি সারা দেশে আন্দোলন বাঁধভাঙা রূপ নিয়েছিল। ৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে ও ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের অফিসআদালত, স্কুলকলেজ বন্ধ। সব সরকারি ভবন, হাটবাজার এমনকি পাড়ামহল্লায় উড়েছে প্রতিবাদের কালো পতাকা। কোথাও কোথাও বাংলাদেশের নতুন পতাকাও উড়তে থাকে। মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠতে থাকে সংগ্রাম কমিটি। সব বয়স, পেশা ও শ্রেণির মানুষ বেরিয়ে আসতে থাকে রাজপথে। বেসামরিক কর্মকর্তাকর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন অসহযোগ আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করতে থাকে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে দেশিবিদেশি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। তবে পরবর্তী বৈঠকের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

নিজের জন্মদিন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এদিন ঘরোয়া আলাপে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমার জনগণের জন্যই আমার জীবন ও মৃত্যু। আপনারা আমার জনগণের অবস্থা জানেন। অন্যের খেয়ালে যে কোনো মুহূর্তে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বলেন, পূর্ববাংলা এখন স্বাধীন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এখন স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। অতীতের সবকটি আন্দোলনের সাথে আমি জড়িত ছিলাম। কিন্তু একটি সর্বজনীন দাবিতে জনগণের মধ্যে বর্তমান সময়ের মতো একতা ও সহযোগিতা আমি এর আগে কখনো দেখিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফজলে করিমের দুই ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধরোজার প্রতিটি মুহূর্ত শান্তি, কল্যাণ ও পুণ্যের হাতছানি দেয়