যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল চট্টগ্রামে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অগণিত বীর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। তিনি বলেন, যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সামরিক সমঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছে। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন, বিমানবাহিনীর চট্টগ্রামের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ বদরুল আমিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে অতিথিদের নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটা হয়। সম্মাননা দেওয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নৌবাহিনীর উদ্যোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলের মসজিদসমূহে বাদ ফজর মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া নৌবাহিনীর সকল জাহাজ ও ঘাঁটিসমূহে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজসমূহে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কবিতা আবৃত্তি, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার সদরঘাটে বানৌজা অদম্য, চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে বানৌজা প্রত্যয়, খুলনা বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বানৌজা শহিদ ফরিদ, মোংলা দিগরাজ নেভাল বার্থে বানৌজা তুরাগ, বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বানৌজা দৌলত এবং চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বানৌজা অতন্দ্র দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।