চট্টগ্রামে বন্যার কিছুটা উন্নতি

ফটিকছড়ি হাটহাজারী মীরসরাই । দেখা যাচ্ছে বাড়িঘর ও সড়কের ক্ষতচিহ্ন । অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

দুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া এবং পাহাড়ি ঢলের পরিমাণ কমায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও মীরসরাইয়ে নদী ও খালের পানি কমতে শুরু করেছে। এতে করে ওইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে হাটহাজারীর অনেক এলাকায় এখনো পানি রয়েছে। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

বন্যার পানি কমায় বাড়িঘর ও সড়কে ক্ষতচিহ্ন দেখা যাচ্ছে। বাড়ি ও সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কৃষি, মৎস্য, মুরগির খামার ও বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে। বন্যার মাঝে ফটিকছড়িতে স্রোতে ভেসে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। হাটহাজারীতে বন্যা কবলিত স্বজনকে দেখতে গিয়ে অসুস্থ হওয়া এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ফটিকছড়িতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি : ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, ফটিকছড়িতে হালদা নদী, ধুরুং খাল এবং সর্তা খালের পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। পানি কমতে শুরু করায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষত বন্যার পানিতে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে দেখা যাচ্ছে মাটি, টিনের বাড়িঘর ও সড়কের ক্ষতচিহ্ন। উজান থেকে নামা হালদা নদীর ঢলে পূর্ব সুয়াবিলে বাড়িঘর দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ওই এলাকায় অনেক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। একইসাথে চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক, ফটিকছড়িবারৈয়ারঢালা সড়কে দেখা যাচ্ছে ভাঙন। পানি নামার পর সড়কের ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠেছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদী ও খালগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো সুয়াবিলের বিভিন্ন জায়গায় পানি কমেনি। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় পানি কমতে শুরু করায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। বিশেষত বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়কগুলো এবং বাড়িগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এছাড়া কৃষিতেও বড় ধাক্কা এসেছে।

উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ফটিকছড়িতে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার। বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৬শটি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৭ হাজার ২শটি। বন্যায় ভেসে গিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩ জন। আহত আছেন ২০ জন। এছাড়া এ বন্যায় ২৯ হাজার ব্রয়লার এবং ৫ হাজার লেয়ার মুরগি মারা গেছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতিতে পিছিয়ে নেয় বৈদ্যুতিক ক্ষয়ক্ষতিও। ২৪টি ট্রান্সফর্মার, ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ১০০ মিটার তারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন সবজি ও পুকুরের মাছ। আমনের ৮০% বীজতলা পানির ভেতর নিমজ্জিত হয়েছে। ৫০ শতাংশ ফলন নষ্ট হয়ে গেছে।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় আনুমানিক ৪ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আরো ধারণা পাওয়া যাবে।

সুয়াবিল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সুয়াবিল এলাকার ইছহাক কামালের ঘর ভেঙে পড়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তিন দিন ঘরে পানি ছিল। বাড়িঘর ফেলে অন্যজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। কত কষ্ট সহ্য করেছি ঘরটা রক্ষা করার জন্য। কিন্তু হালদার বাঁধ ভেঙে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নষ্ট হয়ে গেল।

ওই এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, ২০১৮ সালের বন্যায় একই জায়গায় বাঁধটি ভেঙেছিল। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করলেও স্থানীয় কিছু মানুষের বাধার কারণে হয়নি। এ জায়গাগুলোতে বাঁধ না হলে প্রতি বন্যায় এভাবে বাড়িঘর হারাতে হবে।

নাজিরহাট পৌরসভার নাছির মোহাম্মদ ঘাটের হালদার চরের কৃষক সোহেল বলেন, প্রবাস ছেড়ে এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এবারের বন্যায় আমার ৪০ শতক জায়গার আখ চাষ নষ্ট হয়েছে। এ ধাক্কা কীভাবে কাটিয়ে উঠবে জানি না।

হাটহাজারীতে বন্যার আংশিক উন্নতি : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারীতে বন্যা পরিস্থিতির আংশিক উন্নতি হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি না থাকায় হালদা নদীতে পাহাড়ি ঢলের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। গতকাল ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ছালে আহাম্মদ দফাদারের বাড়ি এলাকার হালদা নদীর ভাঙন পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। হালদা নদীর বাঁধের ভাঙনের কারণে ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন ছয়টি ওয়ার্ডের লোকজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ছয় ওয়ার্ডের তিন হাজার বসতঘরে পানি ঢোকে। এই ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। গতকাল থেকে বসতঘরে থেকে পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলম শওকত।

ফরহাদাবাদে বন্যা পরিস্থিতির আংশিক উন্নতি হলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। গতকাল পূর্ব ধলই, সেকান্দরপাড়া, পূর্ব এনায়েতপুর, মাইজপাড়া, মনোহরপাড়া, উত্তর ছাদেক নগর, পেশকারহাট, গুমানমর্দন, বালুখালী, সিকদার পাড়া, মুৎসুদ্দি পাড়া, মাস্টার পাড়া, রুদ্রপুর, জিলানী বাজার, কাজিরখীল, মোহাম্মদপুর, মোজাফফরপুর, ভাগিরঘোনা, রহুল্লাপুর, রহিমপুর, মেখল হুজুরের বাড়ি, দক্ষিণ মেখল, ভবনীপুর, হেলাল চৌধুরী পাড়া, মধুরঘোনা, ইছাপুর, গড়দুয়ারা, লোহারপোল, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর, বটতলী, সাইনবোর্ড, বাথুয়া, দক্ষিণ কুয়াইশ, বুড়িশ্চরসহ বিভিন্ন এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট গতকালও পানির নিচে ছিল।

বন্যা দুর্গত এলাকার সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। রান্নাঘরের চুলায় বানের পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার রান্না করতে পারছে না। অবশ্য যাদের ঘরে গ্যাসের চুল রয়েছে তাদের কোনোরকমে রান্নার কাজ চলছে।

ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের অনেক লোক এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। গতকালও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সেবামূলক সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ছিপাতলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কাজিরখীল নিবাসী মো. লোকমান বলেন, ছিপাতলী ও কাজিরখীল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলোতে কোমর পানি থাকায় লোকজন নৌকা নিয়ে চলাচল করছে। হালদা নদীতে জোয়ারের সময় পানি লোকালয়ে ঢুকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ভাটার সময় হালদা নদীর সংযোগ বোয়ালিয়া খালের স্লুইচ গেট খুলে রাখার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাটহাজারীর দায়িত্বপ্রাপ্ত এসডি মো. সোহাগ তালুকদার বলেন, হালদা নদীর বাঁধের পাশে শোল্ডার করার সময় স্থানীয়রা বাধা প্রদান করায় ফরহাদাবাদে বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধের দুদিক থেকে শোল্ডার করা হলে এমন অবস্থা হতো না। ছালে আহাম্মদ দফাদার বাড়ির ওই স্থানে যার ঘর ছিল তিনি শোল্ডার করতে বাধা দিয়েছিলেন। ফলে এই ভাঙন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম গতকাল মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর ফয়েজিয়া বাজারের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বন্যা কবলিত স্বজনকে দেখতে গিয়ে লাশ হলো নারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারীতে বন্যা দুর্গত এলাকায় স্বজনকে দেখতে গিয়ে রুবি আকতার (৪৭) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উদালিয়া গ্রামের ফকিরভিটা এলাকার মো. ইউনুচ বাবুর্চির স্ত্রী। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়। গতকাল শনিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল আবসার তারেক মৃত্যুর বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ছেলে মো. ইকবাল জানান, আমার মা গত শুক্রবার সকালের দিকে বন্যা কবলিত স্বজনকে দেখতে একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বংশাল এলাকার নানাবাড়িতে যাওয়ার সময় বন্যার পানি দেখে স্ট্রোক করেন। সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেক কষ্টে সেখান থেকে এনে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মীরসরাইয়ে কমছে পানি : মীরসরাই প্রতিনিধি জানান, মীরসরাই উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর ফেনী নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় করেরহাট, ধূম, হিঙ্গুলী, মোবারকঘোনা, আজমনগর, গনকছরা ও শান্তিরহাট এলাকায় পানি দুয়েক ফুট কমে এসেছে বলে জানা গেছে।

ফেনী নদীর তীরবর্তী অলিনগরের মাস্টার হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল বিকাল নাগাদ ফেনী নদীর পানি অন্তত ২ ফুট নেমেছে। তবে ফসলের মাঠ থেকে শুরু করে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ক্ষতবিক্ষত। অনেক ঘরবাড়ি থেকে এখনো পুরোপুরি নামেনি পানি। আবহাওয়া এ রকম থাকলে শীঘ্রই ঘরবাড়ি থেকে পানি সরে যাবে।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আশ্রয় নেওয়া বাড়িঘরে রাতে চোর ও ডাকাত আতংক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে থানা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে।

মীরসরাই উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন ১১ হাজার ৬৩ জন মানুষ। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আশ্রয় দিয়েছেন আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষকে। স্কুলগুলোতে ও সরকারিবেসরকারি অনেক সংগঠন খাবার, পানি ও ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে।

উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অপকার উদ্যোগে শুক্রবার ১৫শ মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বারইয়াহাটের বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন লিটন তিন দিন ধরে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষের জন্য খাবার, পানি, বিস্কুট সরবরাহ করেছেন। এএসপি সার্কেল মনিরুল ইসলাম ও জোরারগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ কয়েক হাজার মানুষের জন্য খাবার বিতরণ করেন। এছাড়া বন্যার্তদের পাশে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন।

মীরসরাই উপজেলা কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন সেগুলো ছাড়া বাকিগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য টিম করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে স্রোতে ভেসে যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবন্যা মোকাবিলা এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার : প্রধান উপদেষ্টা