কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সকল ভাস্কর্য, মনুমেন্ট ও ম্যুরালগুলোকে পুলিশি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি অধিক নিরাপত্তা ও মনিটরিংয়ের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভাস্কর্য এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভিও।
গতকাল হাইকোর্ট থেকে দেশের যেকোনো স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর সিএমপির পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বা ভাস্কর্য রয়েছে অথচ সিসিটিভি নেই, সেই এলাকায় দ্রুত সিসিটিভি বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারিশ আজাদীকে জানান, গত ৫ ডিসেম্বর থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে আমরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মনুমেন্ট, ম্যুরালের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। বিশেষ করে বড় বড় স্থাপনা যেমন বড়পোল, অঙিজেন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নগরীর হালিশহর বড়পোল মোড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্য। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। নগরীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের (অঙিজেন-কুয়াইশ সংযোগ সড়ক) দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ম্যুরাল স্থাপন করে সিডিএ। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসহ নগরীর অনেক জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, মুর্যাল ও মনুমেন্ট রয়েছে।
গতকাল হাইকোর্ট থেকে দেশের যে কোনো স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ৭ মার্চ ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণার মামলায় রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেয়।