প্রায় ১৫ দিন পরে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশ জনে। সবমিলিয়ে বর্তমানে ১৯ হাজার ৪২৭জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও হার বাড়েনি। বর্তমানে ১০ শতাংশের নীচে রয়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা।
সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আরো ১০০জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪২৭ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। গত বৃস্পতিবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবসহ চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ২১ জন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এ ৪৮০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ২৯ জন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে এইদিন কোন নমুন পরীক্ষা হয়নি। এছাড়া ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) দুটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি। এইপর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৯ হাজার ৪২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে মহানগরে ১৪ হাজার ১২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৫৪১৫জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে এই পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫১৩ জন সুস্থ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৩জন রোগী।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ১০০ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এইদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১০৪৪টি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৮৭ জন এবং উপজেলায় ১৩ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে সর্বমোট ২৯৭ জন।
তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। এখন শনাক্তের হার অনেক কমেছে। যা গত এক মাসে ১০ শতাংশের নীচে রয়েছে। তবে আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা বাড়তে পারে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি।