২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৯২৫ জনকে বৃত্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে মেধা বৃত্তি পেয়েছেন ৯১ জন; আর ৮৩৪ জন পেয়েছেন সাধারণ বৃত্তি।
আজ রোববার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সচিব প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত ৯১ জনের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৫ জন, ব্যবসায় শিক্ষা ২৩ জন এবং মানবিক থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩৪ জনের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪১৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২০৯ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ২০৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা সমান।
মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাসিক ৮২৫ টাকা এবং বছরে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাসে ৩৭৫ টাকা এবং বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা পাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। সরকার অনুমোদিত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন মাসিক বেতন দাবি করলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃত্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে কোর্সের মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত। এরমধ্যে মেডিকেলে অধ্যরনরতদের পাঁচ বছর, কারিগরি ও কৃষি কোর্স, এলএলবি সম্মানকোর্স এবং ডিগ্রি অনার্স কোর্সে অধ্যয়নরতদের চার বছর, ডিগ্রি পাস কোর্সে অধ্যয়নরতদের ৩ বছর বৃত্তি প্রদান করা হবে।
বৃত্তির শর্তে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সদাচরণ, নিয়মিত উপস্থিতি ও সন্তোষজনক পাঠোন্নতি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদান করা হবে। কোনোভাবেই অনিয়মিত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে না।
বৃত্তিগুলোর সংখ্যা, হার ও মেয়াদ নির্ধারিত। তবে প্রয়োজনবোধে সরকার কোনো কারণ না দেখিয়েই তা পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে।
জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে। বৃত্তির ব্যয় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি বা মেধা বৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে।
গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৩৩৯ জন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৫ হাজার ৯০৩ জন।