চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার ৬৪৯ পরিবার প্রত্যেকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৫০টি, পটিয়ায় ৩০টি, চন্দনাইশে ২৭টি, সাতকানিয়ায় ১০টি, লোহাগাড়ায় ১৫০টি, বাঁশখালীতে ১৪টি, কনর্ফুলীতে ৫টি, বোয়ালখালীতে ২০টি, রাউজানে ২৪৮টি, হাটহাজারীতে ১০টি, আনোয়ারায় ৫০টি, মীরসরাইয়ে ২৫টি, সীতাকুণ্ডে ১০টি গৃহহীন পরিবার দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব ঘর পাচ্ছে। আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামের সাথে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন। গতকাল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। তিনি জানান, সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ৬৯,৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সেই সময় চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়।
ইতোমধ্যে জমির কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রতিটি উপকারভোগীদের মাঝে পৃথক ফোল্ডার করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন- চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী খাস জমি নেই। প্রয়োজনে আমরা জমি কিনবো। উক্ত জমিতে নতুন ঘর তৈরি করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্থান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙ্গুনিয়ার বহলপুরে একসাথে ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ অনন্য উদ্যোগে এখন শামিল হতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০ টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প খাতে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন। অচিরেই বেসরকারি অনুদানে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীন এ দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। এরই ধারাবাহিকতায় এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এ পর্যন্ত।
এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমূল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তারসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।