দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও আসন ভিত্তিক ভোট গ্রহণের জন্য কি পরিমাণ স্বচ্ছ ব্যালট বক্স লাগবে তার তালিকা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার পর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩ আসনের ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের চাহিদাপত্র গত ২৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবরে পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২০২২টি এবং বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৪১টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি বুথে একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স লাগবে এবং প্রতি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বক্স থাকবে। সেই হিসেবে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৬ হাজার ৪৪০টি স্বচ্ছ ব্যালট বক্স লাগবে বলে নির্বাচন কমিশনে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে মজুদ আছে ১৪ হাজার ২০৮টি। অবশিষ্ট ২ হাজার ২৩২টি ব্যালট বক্সের প্রয়োজন আছে বলে নির্বাচন কমিশনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক আজাদীকে বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আসন ভিত্তিক স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের চাহিদা কমিশন থেকে চাওয়া হয়েছিল। আমরা আসন ভিত্তিক স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। আমাদের এখানে কি পরিমাণ মজুদ আছে আরো কি পরিমাণ ব্যালট বক্স লাগবে তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। এর আগে মোট ভোট কেন্দ্রের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিতে চায় ইসি। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে।
গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ওপর দাবি–আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি–আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। সেই হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২০২২টি। আর বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৪১টি।