করোনা মোকাবেলায় চট্টগ্রামসহ দেশের ৩২৮ পৌরসভার জন্য প্রথম কিস্তির এক কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছাড় করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভা পেয়েছে মাত্র আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। ছাড়কৃত অর্থ দিয়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, থার্মাল স্ক্যানার কিনবে পৌরসভাগুলো।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে ‘কোভিড (করোনা) মোকাবেলা’ উপ-খাতে দেশের পৌরসভাগুলোর জন্য চলতি অর্থ বছরে (২০২২-২০২৩) বরাদ্দ আছে ১০ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যেও ২৫ শতাংশ অর্থাৎ আড়াই কাটি টাকা সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে করোনা মোকাবেলা উপ-খাতের জন্য এবার বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত কোটি টাকা। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ পৌরসভা ‘ক’, ৫ পৌরসভা ‘খ’ এবং দুইটি পৌরসভা ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত। ‘ক’ শ্রেণির পৌসভাগুলো হচ্ছে- পটিয়া, বারইয়ারহাট, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, রাউজান। ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভাগুলো হচ্ছে- মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা দুটি হচ্ছে নাজিরহাট ও দোহাজারী।
জানা গেছে, সাধারণ উপ-খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম কিস্তি ছাড়করণে গত মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ফারজানা মান্নান একই বিভাগের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরাবর সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন পত্র পাঠান। এতে ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা পালনের কথা বলা হয়।
ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে পটিয়া, বারইয়ারহাট, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী ও রাউজান পৌরসভা ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালী পৌরসভা ৫০ হাজার টাকা করে আড়াই লাখ টাকা পেয়েছে। এছাড়া নাজিরহাট ও দোহাজারী পৌরসভা ৩৯ হাজার টাকা করে ৭৮ হাজার টাকা পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র অথবা প্রশাসকদের জানান, পৌরসভার মেয়র অথবা প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী অথবা সচিব মঞ্জুরিকৃত আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। বরাদ্দকৃত অর্থ পৌর এলাকার জনগণের মাঝে করোনা বিস্তার রোধকল্পে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুরক্ষার নিমিত্ত মাস্ক, হ্যান্ড সানিটাইজার, সাবান, অঙিজেন সিলিন্ডার, থার্মাল স্ক্যানার ইত্যাদি ক্রয়সহ পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থাপিত টিকা বুথ ব্যবস্থাপনা ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ভবিষ্যতে অডিটের প্রয়োজনে ব্যয়কৃত অর্থের সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।