চট্টগ্রামের দ্বিতীয় হার সিলেটের প্রথম জয়

| শনিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিপিএলে উড়তে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দ্বিতীয় পরাজয় উপহার দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। একের পর এক ম্যাচ জেতার পর হঠাৎ ছন্দপতন দেখলো চট্টগ্রাম। শুরুতে ব্যাটিং ধ্বসে অল্প রানে অলআউট হলো দলটি। এরপর উইকেট হারালেও সহজ জয়ই পায় কুমিল্লা। গতকাল সিলেটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্রেফ ৭২ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ৯.২ ওভারেই জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা। টানা চার ম্যাচ জেতার পর ষষ্ঠ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার চট্টগ্রামের। পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে কুমিল্লা। এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরত যান তানজিদ হাসান। এরপর ২০ রানের জুটি গড়েন আভিস্কা ফার্নান্দো ও টম ব্রুস। ৫ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান আভিস্কা। এরপর থেকেই ছন্দপতনের শুরু চট্টগ্রামের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ বলে ২৭ রান করেন ব্রুস। এর বাইরে কেবল একজনই দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন নিজের রান। ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান নাজিবউল্লাহ জাদরান। ৪ ওভারে এক মেডেনসহ স্রেফ ১৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। ১৪ রানে দুই উইকেট পান আলিস আল ইসলামও। রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন লিটন কুমার দাস। ৯ বলে ২ রান করে বিলাল খানের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫ বলে ৫ রান করে আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। ২৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ২০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। ১৩ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। তবে তাতে জিততে কোনো সমস্যা হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।

এদিকে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে হতাশ করা পারফরম্যান্স ছিল বর্তমান রানার আপ সিলেট স্ট্রাইকার্সের। প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হারে তারা। অবশেষে টুর্নামেন্টে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। গতকাল শুক্রবার সিলেটে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত। ব্যাট করতে বিপর্যয়ে পড়লেও অধিনায়ক মোহাম্মাদ মিথুনের ফিফটিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। দলের পক্ষে ৪৬ বলে ৫৯ রান করেন সিলেটের অধিনায়ক। ১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। সিলেটের পেসার রিচার্ড নাগাভারার বোলিং তোপে ধুঁকতে থাকে ঢাকার ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। এরপর সিলেটের বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার কোনো ব্যাটার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস হারের ব্যবধান কমায়। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। সিলেটের পক্ষে নাগাভারা নেন ৪টি উইকেট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউথ এশিয়ান সেপাক টাকরো চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব
পরবর্তী নিবন্ধযুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে পারে হামাস