আলোচিত–সমালোচিত দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে যেমন জানানো হয়নি, তেমনি এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ কথাও বলতে চাননি। খবর বিডিনিউজের।
জ্বালানি সঙ্কটে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিতে হওয়ায় পুনরায় আলোচনায় উঠে আসে দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সরকার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করলেও এগুলোতে ভর্তুকি দিতে গিয়ে চাপ তৈরি হচ্ছে বলে সমালোচনা রয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের জন্য চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায় বিদ্যুৎ বিভাগ। এই কমিটির নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি দেশে না থাকায় বুধবারের সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
এতদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে আসছিলেন। কিন্তু এদিন ছিল ব্যতিক্রম। যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক বলেন, আমরা আজকে ব্রিফ করিনি। অর্থমন্ত্রী মহোদয় ছিলেন না। যার কারণে আমরা ব্রিফিংয়ের বিষয়ে নির্দেশিত ছিলাম না। বৈঠকে কী কী প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি প্রস্তাব ছাড়া বাকিগুলো পাস হয়েছে। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সবগুলো প্রস্তাব পাস হয়েছে।
বৈঠকের কর্যসূচিতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের জুলদায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিস, রাজশাহীর কাটাখালীতে ৫০ মেগাওয়াটের নর্দার্ন পাওয়ার সল্যুশন, কেরানীগঞ্জের ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০ মেগাওয়াট সিনহা পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছিল। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচিবের কথা অনুযায়ী, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কোন মন্ত্রণালয়ের কোন কোন প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে– জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বারিক বলেন, যেহেতু আমি নির্দেশিত ছিলাম না, তাই বলতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে নিতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে জানতে হলে পাওয়ার সেলের ডিজির (মহাপরিচালক) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।