চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সারাদেশের উন্নয়ন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক। কিভাবে চট্টগ্রামের আরও উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে সকলের কাজ করা উচিত।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মিরসরাইয়ে শিল্পাঞ্চল হচ্ছে। মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি মেরিন ড্রাইভ তৈরির প্রস্তাব নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আউটার রিং রোড। আমাদের চসিক প্রশাসক বেশ কিছু ভালো কাজ করেছেন, যা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা সম্ভব।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন ঘিরে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইকোনোমিক জোনে সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেও সুপেয় পানির সমস্যা রয়ে গেছে। পানির সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হালদা থেকে পানি উত্তোলনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হালদা নদী থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে এতে নদীর কোনো সমস্যা হবে না। এনিয়ে অনেকে গবেষণা করেছেন। কর্ণফুলী নদী থেকে পানি আনা হলে খরচ বেশি পরবে। এছাড়া মুহুরী নদী থেকেও পানি নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, সরকারকে সারাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সারাদেশে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম প্রথম হোক এটি আমার প্রত্যাশা।
২০৪১ সালে মধ্যে ৮৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সরকারের লক্ষ্য বলে জানান মন্ত্রী।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালউদ্দিন, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অ্যাডমিন) জাফর আলম প্রমুখ।