চট্টগ্রাম জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ও পঞ্চম পর্যায়ের আরো ২৬৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর ঘর। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৮৬টি, চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ রয়েছে ১০০টি। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
এ নিয়ে ১ম পর্যায়ে ১৪৪৪টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১৬২টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১১৩৭টি, ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে ৮১টি ও জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টিসহ সর্বমোট ৫৪৫৯টি পরিবার জমিসহ ঘর পাওয়ার তালিকায় যুক্ত হলেন। এদিকে একই দিন প্রধানমন্ত্রী বাঁশখালী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন। এর আগে চট্টগ্রাম জেলার ৮টি উপজেলা যথাক্রমে–পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং চন্দনাইশ উপজেলা ব্যতীত অবশিষ্ট ১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্প–২ এর মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে মোট ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৪৪টি পরিবার। পরবর্তীতে ২য় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন সারাদেশে মোট ৫৩ হাজার ৩৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৪৯টি পরিবার। ১ম ও ২য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ৯০৪ টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২১ জুলাই সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৮৭টি পরিবার। ওই সময় চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে–পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই–বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। ১ম, ২য় এবং ৩য় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ৪র্থ পর্যায়ে গত ২২ মার্চ সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১৫৯টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ৮৯৩টিসহ মোট ১ হাজার ৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহহীন পরিবার। একই সাথে চট্টগ্রাম জেলার ২টি উপজেলা যথাক্রমে–রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ৯ আগস্ট ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ২৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয় এবং হাটহাজারী ও আনোয়ারা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়।