বিলুপ্তপ্রায় কক্সবাজারের চকরিয়া সুন্দরবনের হারিয়ে যাওয়া প্যারাবনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশি–বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। ১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিল রাতের মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় হ্যারিকেন আঘাত হানার পর বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছিল এই সুন্দরবন। প্রায় ৩০ হাজার একরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই প্যারাবনের অংশবিশেষও ধ্বংস হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রতিবছর জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওআইএসসিএ কর্তৃক সুন্দরবনের শাখা–প্রশাখা খালের তীরে জেগে উঠা চরে রোপন করা হয় লবণসহিষ্ণু প্যারাবন। সেই প্যারাবন বর্তমানে মাথা উুঁচ করে দাঁড়িয়ে আছে। যা চিরায়ত চকরিয়া সুন্দরবনের সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে। এবার ‘প্রকৃতির মায়ায় বনায়ন কর্মসূচি–২০২০’ এর আলোকে আছিয়া–কাশেম ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তায় নতুন করে চকরিয়া সুন্দরবনের জেগে উঠা চরে প্যারাবন সৃজনে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন ‘ইয়ুথ ভলান্টারি সার্ভিসেস বাংলাদেশ’। কার্যক্রমে সহায়তা করছেন ‘ইয়ুথ এক্সপ্রেস বাংলাদেশ’ ও ঢাবির চকোরী নামক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবার রোপন করা হচ্ছে কেওড়া, বাইন, গেওয়াসহ উপকূলের লবণসহিষ্ণু প্রায় ১০ হাজার চারা। গত দুইদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে এই প্যারাবন সৃজন কার্যক্রম চলছে। গত শনিবার উপকূলীয় বদরখালী মগনামা পাড়ায় প্যারাবন সৃজন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন, আছিয়া–কাশেম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ইয়ুথ এঙপ্রেস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাগীব আহসান, ঢাবির চকোরী সভাপতি ও ইয়ুথ ভলান্টারি সার্ভিসেস বাংলাদেশ এর কো–ফাউন্ডার আশরাফুল ইসলাম সাকিব, ঢাবির চকোরীর সাধারণ সম্পাদক সাকিব বিন্ শোয়াইব, মাতামুহুরী সরকারি কলেজের প্রভাষক সাবিনা ইয়াছমিন প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, পরিবেশের উন্নয়নে এবং শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সহায়তা করে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বিলুপ্ত সুন্দরবনে প্যারাবন সৃজনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।










