চকরিয়ায় তিন পুলিশকে কুপিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র, গ্রেপ্তার ১৫

লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, ৫০ জনকে আসামি করে মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়ায় পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে; এতে ধারালো দা ও লাঠিসোটার আঘাতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বরইতলীপেকুয়া সড়কের বরইতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাফালিয়া কাটাস্থ মুড়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয় যা পরে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে বাদী হয়ে ৫০ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। তদ্মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৩০ জনকে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ নারীপুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন, কনস্টেবল মোহাম্মদ মামুন ও তরিকুল ইসলাম। তদ্মধ্যে কনস্টেবল মামুনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বরইতলীপেকুয়া সড়কের হাফালিয়া কাটা এলাকাটি এমনিতেই ডাকাতপ্রবণ এলাকা। এখানে রাত্রিকালীন ডিউটির টহল দিচ্ছিল পুলিশের একটি দল। এ সময় সড়কের পাশে ধারালো দা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা আটকের চেষ্টা চালায়। তখন লোকটি ধাওয়া খেয়ে গ্রামের ভিতর চলে যায়। পুলিশ সদস্যরা ওই অস্ত্রধারীকে আটকের জন্য গ্রামের ভিতরে অভিযানে নামেন। এ সময় ৪০ থেকে ৫০ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। লুট করা হয় এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র।

হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. কাইছার দৈনিক আজাদীকে বলেন, সড়কটিতে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ওই স্থানে যায়। এ সময় কিরিচ হাতে সন্ত্রাসী রাকিবকে দেখে আটকের চেষ্টা করলে এ হামলার ঘটনা ঘটান।

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকার জানান, এই ঘটনায় আহত তিন পুলিশ সদস্য বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তদ্মধ্যে কনস্টেবল মামুনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর মহিলা দলের চার নেত্রীর দলীয় পদ স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধচুয়েটে স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জুন