চকরিয়ায় রাতের আঁধারে চিংড়িঘেরে বিষ প্রয়োগ

মরে ভেসে উঠল ৩০ লাখ টাকার মাছ

চকরিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৯ জুন, ২০২৫ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়ি জোনের ১০ একর বিশিষ্ট দুটি মৎস্য প্রকল্পে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে উৎপাদিত অন্তত ৩০ লাখ টাকার চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধভাবে লিজপ্রাপ্ত হয়ে এই দুটি মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিক শাখাওয়াত হোসাইন।

চকরিয়ার চিংড়ি জোনের ডুলাহাজারা মৌজার ১৬ শেয়ারের ঘোনার এক নম্বর দাগের ১০ একর ও লাগোয়া চরণদ্বীপ মৌজার ১০ একরের মৎস্য প্রকল্পে সংঘটিত এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে গতকাল শনিবার দুপুরে। অভিযোগ ওঠেছে, নিজ বাড়ির কাছে হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী রফিক মিয়ার নেতৃত্বে ১০ একর বিশিষ্ট মৎস্য প্রকল্প দুটিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযুক্ত রফিক মিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ডুমখালী এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।

একই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের উলুবুনিয়া গ্রামের মৃত নুরুল আলমের পুত্র ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প মালিক শাখাওয়াত হোসাইন জানান, বৈধভাবে লিজ নিয়ে ২০ একরের এই প্রকল্পে বাগদা চিংড়ি, লইল্যা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মদ্দা মাছ চাষ করে আসছেন দীর্ঘসময় ধরে। কিন্তু নিজ বাড়ির কাছে হওয়ায় প্রকল্প দুটি দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডুমখালীর বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত গত ২১ জুন দিবাগত রাতে প্রকল্প দুটিতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে উৎপাদনে থাকা প্রায় ৩০ লাখ টাকার চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে শেষ হয়ে যায়।

প্রকল্প মালিক আরও জানান, ঘটনার পরদিন খবর পাওয়ার পর মৎস্য প্রকল্প দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে অভিযুক্ত প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা উল্টো বিভিন্ন কায়দায় হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তবে অভিযুক্ত রফিক মিয়ার দাবি, তিনি কারো কোনো মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করেননি। তাছাড়া ওই মৎস্য প্রকল্প দখলে নেওয়ার কোনো উদ্দেশ্যও তার নেই।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চিংড়ি জোনের ডুলাহাজারা ও চরণদ্বীপ মৌজার ২০ একরের চিংড়ি প্রকল্প দুটিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ গভীরভাবে তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাড়লেন উমামা