চকরিয়ায় গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা, লুটপাটের পর যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী গৃহবধূ আয়েশা আক্তারকে। ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক বেলালের দোকানের সামনের সড়কের ধারে অজ্ঞাত একটি গাড়ি থেকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অপহরণের শিকার গৃহবধূ আয়েশা আক্তারের সর্বশরীরে মধ্যযুগীয় বর্বরতার চিহ্ন। যার কারণে তার শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। তিনি একেবারেই চলতে–ফিরতে পারছিলেন না। প্রায় একই ভাষ্য পরিবারের সদস্যদেরও। তারা জানিয়েছেন, সাহারবিল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুন্যাকাটা গ্রামের বসতবাড়ি থেকে অপহরণের শিকার আয়েশা আক্তারকে দুর্বৃত্তরা অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তিনি এখন অনেকটা চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন।
আয়েশার বড় জা নুরুজা বেগম জানান, আমার দেবর আবদুল মালেক কয়েকমাস ধরে জেলে রয়েছেন। এছাড়াও বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে গত ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা, লুটপাট ছাড়াও তাদের শ্বশুর আবদুল করিম হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী আয়েশা আক্তারকে অপহরণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ১২ দিনের মাথায় বুধবার গভীর রাতে ছোট জাকে সর্বশরীরে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারী দুর্বৃত্তরা। এদিকে অপহরণের ১২ দিন পর হদিস মেলা আয়েশা আক্তারের ওপর চালানো বর্বরতার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে শ্বশুর আবদুল করিম হত্যা মামলার আসামি আমির হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও আরও ৫–৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ গৃহবধূ আয়েশা আক্তারকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করায়। তার উপর চালানো নির্যাতনের ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।