সিআরবিতে প্রস্তাবিত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নগরবাসীকে কলা দেখিয়ে মুলা খাওয়ানো চলবে না। চট্টগ্রামের খোলা জায়গাগুলো ক্রমে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। অতীতে সুইমিংপুলের নামে খেলার মাঠ দখল করে কংক্রিটের জঙ্গল নির্মাণ করা হয়েছে। শিশুপার্কের নামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান দখল করা হয়েছে। এসব স্থানের অনতিদূরেই সিআরবি এলাকা। শহরের মানুষ একটু প্রশান্তির জন্য সিআরবিতে যায়। এটা রেলের সদর দপ্তরও। অতি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। এখানে বর্ষবরণের আয়োজন হয়। বলী খেলা হয়। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। সেই সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আপামর মানুষ সিআরবি রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছে। নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রামের এই মানুষের একজনও হাসপাতাল বিরোধী নন, তারা শুধু এই জায়গায় যেন না হয় সেটাতে ঐক্যবদ্ধ। অথচ একজন নেতা এদেরকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন! আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, কে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছেন? কিভাবে? নুরুল আজিম রনি বলেন, ওই নেতা আউটার স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে নগরীর ফুটপাত পর্যন্ত সব নিলামে তুলে পরিস্কার পানিতে মাছ শিকার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে বিব্রত করতে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে, বহুদিন ধরে। এটাও তার কোনো অংশ কিনা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও আমি মনে করি।
রনি বলেন, আমি হাসপাতাল চাই, গরীবের জন্য। আপামর মানুষের জন্য। কোনো স্বাস্থ্য বেনিয়ার বেসাতির জন্য নয়। সরকারের উচিত এ বিষয়ে সুুষ্ঠু নজরদারি করা। চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার দেশের সব মানুষের। জনসংখ্যা অনুপাতে চট্টগ্রামে আরো কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল দরকার। বেসরকারি না করে এখানে একটি সরকারি হাসপাতাল করা হোক। এখন যে রেলওয়ে হাসপাতালটি আছে সেটির আধুনিকায়ন করা হোক। তাহলে মানুষ সেবা পাবে। সরকারি জমিতে বেসরকারি হাসপাতাল করে গলাকাটা ক্লিনিক ব্যবসা যেন না হয়।