দেখে বোঝার উপায় নেই ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে, কিংবা পাশের কক্সবাজারে বিরাজ করছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। ভয়াবহ রকমের এক সাইক্লোনের মুখোমুখি দেশ সেটিও বুঝার কোনো উপায় নেই। পতেঙ্গা সৈকতসহ সাগরপাড়ে গতকাল হাজারো মানুষের ‘সমুদ্র দর্শনে’র তোড়জোড় পরিস্থিতি পুরোই স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে। কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। চট্টগ্রাম মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেয়া হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলার প্রস্তুতি চারদিকে। লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে প্রশাসন। চলছে মাইকিং। ঘর থেকে জোর করে বের করে নেয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং সাগরপাড়ে বসবাসকারী বহু মানুষকে। চারদিকে সতর্কবাণী এবং উদ্বেগের মাঝে গতকাল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতসহ সাগর পাড়ে মানুষের উপস্থিতি দেখে বুঝার উপায় নেই দেশে কিছু ঘটছে।
গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি পতেঙ্গা এলাকায় মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ সাগরদর্শন করছে, সাগরপাড়ে বসে পেঁয়াজু, বেগুনি, ঝালমুড়ি, কাঁকড়া, মাছসহ নানা খাবার দাবার খেতে দেখা গেছে। তাদের মাঝে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কিংবা সুপার সাইক্লোন নিয়ে কোনো ধরনের আতংক দেখা যায়নি। বরং সাগরের ঢেউ না থাকায় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গতকাল বিকেলে পতেঙ্গা সৈকতে ঘুরতে আসা আমান উল্ল্যাহ আমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সাগর উত্তাল হয়। সেটি দেখতে এসেছি। কিন্তু সাগরে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখলাম না। হতাশ হলাম। রাশেদুল আলম আরমান নামের অপর একজন পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। তিনিও একই সুরে কথা বললেন। তিনি বললেন, সাগর দেখে মনে হচ্ছে না যে ৮ কিংবা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। নেভাল এলাকার ব্যবসায়ী নয়নের বাপ বলেন, দোকানে পেঁয়াজুসহ বিভিন্ন ধরনের ঝাল খাবার আছে। অন্যান্য দিনের মতোই তো বিক্রি হচ্ছে। মানুষজনও অনেক এসেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করেছিলাম আজ ব্যবসা হবে না। লোকজন আসবে না। কিন্তু আমার ধারণা ভুল হয়েছে। অনেকেই সাগর দেখতে এসেছে।