আনোয়ারায় জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ জুঁইদন্ডী গ্রামে নব নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ইন্সট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই আইপিএস ও ৮ টি ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় একাধিক যুবদল নেতা জড়িত বলে ইউপি সদস্য নুরুন্নবী জানিয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে প্রশাসনের নীরবতায় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে রহস্যজনক কারণে চুরি হওয়া ৮ ব্যাটারির মধ্যে ২টি ব্যাটারি ফেরত দেওযার ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল রবিবার দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উমা খান কাফি জানান, এ ঘটনা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তার আগে গত ১ অক্টোবর বুধবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ জুঁইদন্ডী গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্র হতে এ চুরির এ ঘটনা ঘটে। উমা খান কাফি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র হতে ব্যাটারি ও সোলার সিস্টেম চুরি হয়ে গেছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলে আমি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা থাকলেও পারিনি। কিন্তু এ বিষয়ে লিখিতভাবে ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুন্ননবী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য ৮টি ব্যাটারিসহ একটি সোলার সিস্টেম আইপিএস ছিল। একমাস আগে থেকে স্থানীয় যুবদল নেতারা বিনা অনুমতিতে আশ্রয় কেন্দ্রের তালা ভেঙ্গে সেখানে তাদের ব্যক্তিগত ঠিকাদারি কাজের শ্রমিকদের রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করেন। জানতে পারি কয়েকদিন আগে আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যাটারি ও সোলার সিস্টেম চুরি হয়েছে। পরবর্তীতে আমি যুবদল নেতাদের চাপ দিলে কে বা কারা দুইটি ব্যাটারি রেখে যায়। বাকি কয়েক লাখ টাকার মালামাল ফেরত দেয়নি। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি।
আনোয়ারা উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া প্রতিটি ব্যাটারির মূল্য ২৬ হাজার টাকা আর ৮টি ব্যাটারি ও সোলার সিস্টেমসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যাটারি ও সোলার সিস্টেম চুরির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে চুরির ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।