দাবি মোতাবেক ‘ঘুষ না দেওয়ায়’ চিটাগাং খুলশী ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আটজনের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত রোববার চিটাগাং খুলশী ক্লাবের পক্ষে নগরীর ফয়’স লেক এলাকার ক্লাব চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা
হয়, সীমানা দেয়াল নির্মাণের জন্য একটি টিলায় বেস কাটার সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস এসে পাহাড় কাটার অভিযোগ এনে ছয় শ্রমিককে আটক করেন। আটককৃতদের ছাড়ার জন্য দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। তা না দেয়ায় ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আটককৃত আটজনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনে মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিটাগাং খুলশী ক্লাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বাবুল ভূঁইয়া। তিনি অভিযোগ করেন, ক্লাবের ওয়াকওয়ে ও বিউটিফিকেশনের কাজ চলছিল। সে হিসাবে বাউন্ডারি ওয়ালসহ চার ফিট ওয়াকওয়ে করার জন্য যে টিলাটা আছে সেটা ড্রেসিংয়ের কাজ
চলছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন সকালে এসেছে। তাদেরকে আমরা দেখিয়েছি। পরবর্তীতে পুলিশ এনে আমাদের শ্রমিকদের ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। সে সময় হিল্লোল বিশ্বাস আমাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। একই সাথে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন ওই কর্মকর্তা।
১৫ ফেব্রুয়ারি পাহাড় কাটার অভিযোগ এনে খুলশী ক্লাবের সহসভাপতি মো. রফিক উদ্দিন বাবুলের (৫৪) বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলায় ক্লাবের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হাসান উদ্দিনসহ (৩০) আটজনকে আসামি করা হয়। খুলশী থানায় মামলাটি করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মামলার আগেই হিল্লোল বিশ্বাস ক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে ‘ঘুষ দাবি’ করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনা তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
চিটাগাং খুলশী ক্লাব লিমিটেডের সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, ঘুষ দাবির অভিযোগ সত্য নয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওখানে পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়ে খুলশীর ফয়’স লেক এলাকায় পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় খুলশী ক্লাবের পাশের একটি পাহাড় কাটার সময় ৬ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পাহাড় কাটার সময় ৬ জনকে আটক করে পরিবেশ অধিদপ্তরে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বাবুল। তবে তিনি কৌশলে চলে যান। পরে বাবুলসহ ৮ জনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করা হয়।