দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানে সামরিক নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা পদচ্যুত হয়েছেন। ঘুষ গ্রহণ ও মানব পাচারের দায়ে তারা অভিযুক্ত হয়েছেন বলে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। ৩০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা ফোজদারি অভিযোগের মোকবেলা করছেন বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন। সামরিক নিয়োগের দায়িত্বে থাকা সব আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সময়ে ঘুষ গ্রহণ বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। খবর বিডিনিউজের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, কর্মকর্তারা ঘুষ হিসেবে নগদ অর্থ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করেছেন অথবা লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য ডাক পাওয়া যোগ্য লোকজনকে ইউক্রেন ছাড়তে সহায়তা করেছেন। সব আঞ্চলিক সামরিক কমিশারদের পদচ্যুত করছি আমরা, বলেছেন তিনি। যুদ্ধ কী তা জানে এবং যুদ্ধের সময় ঘুষ ও সংশয়বাদ বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা, এ ধরনের প্রত্যয়ী লোকজনকে দিয়ে পদ্ধতিটি চালানো উচিত, বলেছেন তিনি।লড়াই করতে সক্ষম ইউক্রেনের এমন ১৮ বা তার বেশি বয়সী সব পুরুষদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ৬০ বছরের কম বয়সী সব পুরুষের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিয়োগ পদ্ধতিটি ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।
বলেছেন, তারা যেভাবে যোদ্ধাদের সঙ্গে আচরণ করতো, তাদের দায়িত্ব পালন করতো তা এককথায় অনৈতিক। আঞ্চলিক সামরিক দপ্তরগুলোতে নিরীক্ষা চালানোর পর এসব দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রকাশ পায়।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ৩৩ সন্দেহভাজন আঞ্চলিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১২টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সারা দেশজুড়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ১১ কর্মকর্তা তাদের পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মে মাসে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধানকে আটক করা হয়। ইউক্রেনের সরকারি পরিষেবায় দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলা এক সমস্যা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে ইউক্রেন বিশ্বের ১৮০ দেশের মধ্যে ১১৬তম স্থানে আছে।