বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ২৪ জনের একটি টিম গবেষক দল ড. সোনিয়া বিনতে মোর্শেদের নেতৃত্বে ঘাসফুলের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বুধবার ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন : নগরে বন্যা, জলাবদ্ধতা ও ভূমিধস’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘাসফুল চেয়ারম্যান ড. মনজুর–উল– আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চলানায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সহকারী পরিচালক সাদিয়া রহমান। ঘাসফুলের চলমান কার্যক্রম উপর ডকুমেন্টরী প্রদর্শন ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর উপস্থাপনা করেন সহকারী পরিচালক কে এম জি রব্বানী বসুনিয়া।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগরে বন্যা, জলাবদ্ধতা ও ভূমিধস বিষয়ক সমস্যা ও করণীয় সর্ম্পকে তথ্য উপাত্তভিত্তিক উপস্থাপনা প্রদান করেন চবি ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. মো. আলী হায়দার। প্রবন্ধে তিনি চট্টগ্রামের এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন।
বক্তব্য দেন, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদ ইশতিয়াক আমিন চৌধুরী, ড. শাম্মী হক এবং প্রভাষক ফারিহা ইসলাম মৌ। আলোচনায় অংশ নেন, সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, বুয়েটের শিক্ষার্থী শরিফুল আলম, এইচ এম শাহরিয়ার, ফয়সাল মাহমুদ সাকিব, তাজরিন জামান।
বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টটিউিটের গবেষক দলের প্রধান ড. সোনিয়া বিনতে মোর্শেদ বলেন, হিউম্যানেটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম কোর্সের আওতায় আমরা মাঠ পর্যায়ে সরজেমিনে পর্যবেক্ষণ করে সমস্যার কারণ ও ব্যাপকতা এবং সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবো। সে লক্ষ্যেই চট্টগ্রাম শহর এলাকা, সাতকানিয়া, বান্দরবান এলাকার আর্থসামাজিক ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের চেষ্টা করবো। সভাপতির বক্তব্যে ড. মনজুর–উল– আমিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম ডুবছে, চট্টগ্রামবাসী ভুগছে, পরিত্রাণে দরকার বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বাস্তবানুগ পথ খোঁজা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বতি উদ্যোগে নিরসন কার্যক্রম জোরদার করা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।