সীতাকুণ্ডে ডুবে যাওয়া বালুভর্তি বাল্কহেডের সঙ্গে থাকা চারজনের মধ্যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তারা হলেন নবীর হোসেন (২০) ও মো. মান্নান (২৬)। নবীর লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুরের একটি মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে সীতাকুণ্ডে এসে বাল্কহেডে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ নিয়েছিলেন নবীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকার সমুদ্র উপকূল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মান্নানের লাশ উদ্ধার করে নৌ–পুলিশ। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার আলেকজেন্ডার থানার সবুজ এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে।
নবীর হোসেনের পিতা ইব্রাহিম জানান, দুই মাস আগে আমার ছেলে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় সমুদ্র উপকূলে একটি বালু বহনকারী বাল্কহেডে শ্রমিকের কাজ নেয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বালু বহনকারী বাল্কহেডটি সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু নিয়ে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে ডুবে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তিনি বলেন, পড়ালেখার জন্য অনেক সময় বকাঝকা করতাম। সেই অভিমান থেকে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, আজ তার এ নির্মম পরিণতি ঘটল।
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা উপকূলে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের বিষয়টি জানান। পরে নৌপুলিশ ও গাউসিয়া কমিটি যৌথ সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, বাল্কহেডটি ডুবে গেলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। গত মঙ্গলবার নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করেন বাল্কহেডের মালিক সৈয়দ জুনাইদুল হক। ওই বালু বহনকারী বাল্কহেডে চারজন শ্রমিক ছিলেন। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে ছিলেন নবীর ও মান্নান। এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন আবদুল হান্নান ও সোনা মিয়া। এই বিষয়ে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।