ইসরায়েলের দুই বছরের গণহত্যা আর আগ্রাসনে আপাতত যতি টেনেছে যুদ্ধবিরতি; সেই সুযোগে উদ্ধারকর্মীরা গাজার সেইসব বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন, যেখানে আগে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’র বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গত এক দিনে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৩৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার আল–শিফা হাসপাতালে ৪৩টি, আল–আহলি আরব হাসপাতালে ৬০টি মরদেহ পৌঁছেছে। বাকি মরদেহগুলো পৌঁছেছে নুসেইরাত, দেইর আল–বালাহ ও খান ইউনিসের বিভিন্ন হাসপাতালে। খবর বিডিনিউজের।
গাজা ভূখণ্ডের কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর এবং উপকূলীয় আল–রাশিদ সড়ক খুলে দেওয়ার পর, হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে পরিণত তাদের ঘরবাড়িতে ফেরার দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক যাত্রা শুরু করেছেন। নুসেইরাত থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম বলেন, ‘শিশু, নারী, বৃদ্ধ, গাড়ি, ভ্যান, আসবাবে বোঝাই গাধার গাড়ি– সবাই গাজা সিটির দিকে ছুটছে। পরিবারগুলো তাদের অস্থায়ী তাঁবু খুলে নিয়ে যাচ্ছে, যেন নিজেদের ভাঙা বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ওপর আবার সেই তাঁবু টাঙিয়ে আশ্রয় নিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের এই ফেরার যাত্রাকে বলা হচ্ছে ঐতিহাসিক, কিন্তু মানবিক সংকট লাঘবের কার্যকর পদক্ষেপও এখন খুব দরকার।’
আল জাজিরা লিখেছে, গাজার অবস্থা এমন যে, মাসের পর মাস ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পর সেখানে প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। না অবকাঠামো, না বিশুদ্ধ পানি, না বিদ্যুৎ। কেবল কঙ্কালসার ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে, যেখানে একসময় জীবন ছিল।