মেরিন ড্রাইভে ঘন গাছপালার কারণে কক্সবাজার–রেজু–টেকনাফ রুটে চালু করা গেল না ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য গত শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দুটি ট্যুরিস্ট বাস সংযোজন করে। এখন সেই বাস ২টি চলাচলের জন্য কাটা হচ্ছে গাছের ডালপালা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের মধ্যে কলাতলী থেকে রেজু নদী পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ঘন গাছপালা। এ কারণে এ সড়কে চালানো যাচ্ছে না বিআরটিসির ডাবল ডেকার ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। ফলে গত সোমবার থেকে মেরিন ড্রাইভের গাছপালার ডাল কাটা শুরু হয়েছে। গত ২ দিনে মাত্র ১ কিলোমিটার এলাকায় গাছের ডালপালা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখনও বাকী রয়েছে আরও প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার এলাকা।
গতকাল বিকালে সরেজমিন দেখা গেছে, জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী, দমকল বাহিনী, বনকর্মী ও বিদ্যুৎ বিভাগের ৮/১০ জন লোক মেরিন ড্রাইভের শুকনাছড়ি এলাকায় গাছের ডালপালা কাটছে। মাঝেমধ্যে যান চলাচলও বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে গতকাল বিকাল পর্যন্ত কেবল দরিয়ানগর ব্রিজের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত এলাকার গাছের ডালপালা ছাঁটা সম্পন্ন হয়েছে। বাকী সাড়ে ১৫ কিলোমিটার এলাকার ডালপালা ছাঁটা শেষ হলেই কক্সবাজার–রেজু–টেকনাফ রুটে চালু করা হবে সেই ট্যুরিস্ট বাস।
তবে কবে নাগাদ সেই ট্যুরিস্ট বাস চালু করা যাবে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, আমরা যত শীঘ্রই সম্ভব বাস দুটি চালু করতে চাই। তবে বাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরিকারী গাছের ডালপালাগুলো যত দ্রুত অপসারণ করা যায়, তার উপর নির্ভর করছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, মেরিন ড্রাইভে গাছের ডালপালাগুলো কাটছে জেলা প্রশাসন। আর সেখানে সহযোগিতা করছে বনবিভাগসহ অন্য সংস্থাগুলো। তিনি জানান, মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার পাশ্চিম পাশের গাছপালাগুলো কেটে ফেলা হবে। এজন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মার্কিং করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস চালু করে। লাল–সবুজ রঙের ছাদখোলা ডাবল ডেকার বাস দুটি বিআরটিসি থেকে লিজ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৫৫ সিটের বাস দুটো জেলা প্রশাসনই পরিচালনা করবে। কক্সবাজার শহরের সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট থেকে পর্যটক নিয়ে একটি ট্যুরিস্ট বাস রেজুখাল ব্রিজ পর্যন্ত যাবে। এরপর তাদের তুলে দেওয়া হবে ব্রিজের অপরপ্রান্তে অবস্থান করা অপর ট্যুরিস্ট বাসে। ওই বাস মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ পর্যন্ত চলাচল করবে। পর্যটকরা বাসে করে মেরিন ড্রাইভের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখবে। নানা সুযোগ–সুবিধা সংবলিত এই ট্যুরিস্ট বাস দুটি পর্যটকদের বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।