রাউজানে হত্যাকাণ্ডের শিকার কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়ের কঙ্কালের খণ্ডিত অংশ ও গণপিঠুনিতে নিহত উমংচিং মারমার লাশ গতকাল ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে অপহরণ মামলার আসামি উমংচিং মারমারকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা করেছে। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে ।
অপরদিকে গতকাল হৃদয়ের মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলো পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মতিঙ্গাছড়ির অংসুচিং মারমার ছেলে সুইচিংমং মারমা (২৪) ও কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাপমারা গ্রামের অংথুইমং মারমা (২৫)। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য যে, গত ২৮ আগস্ট রাত ১০টায় রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের হযরত আশরাফ শাহ (র) এর মাজার গেটের পূর্ব পাশের ইলিয়াস পোলট্রি ফার্ম থেকে কলেজ ছাত্র হৃদয় নিখোঁজ হন। ১১ সেপ্টেম্বর সকালে তার রক্তমাংসহীন কংঙ্কাল উদ্ধার করা হয় পাহাড় থেকে। এদিন পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষুদ্ধ জনতা হৃদয়কে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত উপজাতি সন্ত্রাসী উমংচিং মারমারকে গণপিঠুনি দিয়ে হত্যা করে।