গ্রিন শিপইয়ার্ড বাস্তবায়নে আরো ৫ বছর সময় চায় বিএসবিআরএ

সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্প পরিদর্শনে আইএমওর মহাসচিব

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ১ জুন, ২০২৪ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজভাঙা শিল্প পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। এ সময় তার সাথে ছিলেন ইউকের বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম এবং ইউকেতে বাংলাদেশের মেরি টাইম কনস্যুলার ক্যাপ্টেন এ বি এম শামীম। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আইএমও জেনারেল সেক্রেটারি উপজেলার ক্রিস্টাল শিপার্স লিমিটেড এবং কে. আর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন তারা।

পরিদর্শনকালে আইএমও মহাসচিব ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখেন এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। এ সময় বিএসবিআরের পক্ষে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রগ্রেস, এচিভমেন্ট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। এ সময় শিপব্রেকার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের কাছে ইউক্রেনরাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকট, জাহাজভাঙা শিল্পে কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব এবং সর্বোপরি প্রতিটি শিপইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ড করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে জাহাজভাঙা শিল্প মালিকরা সবকটি শিপইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে আরো ৫ বছর সময় চান এবং গ্রিন ইয়ার্ডের জন্য সফট লোন প্রয়োজন বলে জানান।

আইএমও মহাসচিব বলেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে আইএমও প্রবর্তিত হংকং কনভেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এ শিল্পের টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ শিল্পের উন্নয়নে এখানকার শিপ ইয়ার্ডগুলো গ্রীন ইয়ার্ড বাস্তবায়নে কাজ করছে দেখে আইএমও সন্তুষ্ট। এ শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে আইএমওর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন বলেন, হংকং কনভেনশন প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত আন্তরিক এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। আইএমও মহাসচিবের শিপ ইয়ার্ড পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে এতে গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করা যায়।

পরিদর্শনকালে আইএমও মহাসচিবের সাথে ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ্‌ মো. হেলাল উদ্দীন এবং যুগ্ম সচিব প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিংয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল কামরুল মোহাম্মদ মাসুদ আলম, এমওএস জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, ডেপুটি সেক্রেটারি সৈয়দ আলী আহসান, নটিক্যাল সার্ভে চিফ ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার এঙামিনার মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ইবনে বাশির, মো. আবুল বাশার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, এমএমওর প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন মুস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল আলম। এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম, বিএসবিআরএ’র প্রেসিডেন্ট মো. আবু তাহের, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম রিংকু, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. করিম প্রমুখ উপস্থিত থেকে জাহাজ ভাঙা শিল্পের সার্বিক বিষয়ে আইএমও মহাসচিবকে অবহিত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবার মতো আমিও আনোয়ারাবাসীর সেবা করে যাব : জাবেদ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হলেন নাঈমুল ইসলাম খান