সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া জুলাই আন্দোলনের বীর যোদ্ধা আব্দুল হামিদের লাশ দেশে আনার পর গতকাল শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়ায় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর আমিরাতে কারাবন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে কারাগারে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানাতে পারেনি পরিবার বা উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় জনসাধারণ সূত্রে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়ার সময় সেদেশে মামলা হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই মামলার আসামি হলেও হামিদ পরবর্তী সময় কৌশলে দেশে চলে আসতে সক্ষম হয়। পরে আবার আরব আমিরাতে ফেরত গেলে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। সেখানে গত ২২ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। আব্দুল হামিদ রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামমাহালদার পাড়া গ্রামের আবদুস সালামের বড় ছেলে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা আবদুল হামিদ গত ২১ এপ্রিল আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি আবুধাবি আল–সদর কারাগারে বন্দি ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে তার স্ত্রী কোহিনুর আক্তার। জুলাই যোদ্ধা আবদুল হামিদের মৃত্যুতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি জানাজায় অংশ নিয়ে লাশ দাফনের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে জুলাই যোদ্ধা আব্দুল হামিদের মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার। মরহুমের গ্রামের বাড়িতে জানাজা ও দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।