উত্তর ফটিকছড়ির অবহেলিত জনপদ শ্বেতছড়া। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস এখানে। পাহাড়ি এ জনপদ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল যুগ যুগ ধরে। প্রতিটি মানুষ খুবই পরিশ্রমী। চাষাবাদ ই প্রধান পেশা। লেবু চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী এখানে। সহজ সরল সাধারণ মানুষগুলো মাটির মতোই। এ মাটিই তাদের খাদ্যের যোগান দেয়। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সংস্থান যোগায়। প্রতিটি পরিবারই নিজের উৎপাদিত আয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভীষণ অতিথিপরায়ণ আর আন্তরিক। আমার যাওয়া আজকেই এবং প্রথম। এলাকার রাস্তাঘাট মসজিদ তৈরীতে একজন জনপ্রতিনিধি সমাজসেবী মানুষের নাম উঠে এসেছে তাদেরই কথায়। তাঁর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসা দেখে আমিও খানিক বিস্মিত হলাম।এরা দাম দিতে জানে, যে কোন প্রতিদানের। তাই ভাবলাম মনে মনে। আর প্রথম দর্শনেই ভালো লেগো গেলো এলাকার মানুষ জন আর পাহাড়ি ছোট এ জনপদ কে। তাদেরই ভাষ্যমতে– এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের আকুতি একটা স্কুল, একরাশ স্বপ্ন। তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে। তাদের সে আশা দীর্ঘদিনের চাওয়াটা বাস্তবে রূপ পেলো শ্বেতছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। আর এ মহান কাজটি করেছেন একজন স্বপ্নবান মানুষ আবু জাফর মাহমুদ- এলাকার মানুষের কাছে যিনি আলোর ফেরিওয়ালা।