শুরু হলো ডিসেম্বর মাস, আমাদের জীবনে গৌরব ও আত্মত্যাগের মাস। এই মাসে আমরা পাকিস্তানী বাহিনীর শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে লাল সবুজের পতাকার দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। এই অর্জন অনেক ত্যাগ আর গর্বের। লাখো শহীদের রক্তে আর বীরাঙ্গনা মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিশাল আত্মত্যাগের ফলে ১৬ ডিসেম্বর এ মহান বিজয় লাভ করেছি। পাকিস্তান বাহিনীর যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে পূর্ব বাংলার সর্বস্তরের মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। বাংলার কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই যুদ্ধ অত্যাচার নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায় মানবিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষ এক হয়ে সেই ডাকে সাড়া দেয়। বাংলার লাখো বাঙালি কাঁধে কাঁধ রেখে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পাকিস্তানি দোসররা গ্রামে ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে ঘর বাড়ি পুড়ে ছারখার করে দেয়। কত অসহায় বৃদ্ধ মা বাবার কোল খালি হয়। কত মেয়ে স্বামী হারা হয়। কত অবুঝ সন্তান পিতাহারা হয়। পাকিস্তানি বাহিনী রাতের আঁধারে নিরস্ত্র বাঙালির উপর আক্রমণ করে। এ দেশকে মেধাশূন্য করতে ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। লাখো বীর শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। এ বিজয় একদিকে যেমন আনন্দের আর গর্বের অন্যদিকে চরম কষ্টের। এই বিজয়ের জন্য অনেকে আপনজন হারিয়েছে। অনেক ত্যাগ আর লাখো প্রাণের বিনিময়ে বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। যাদের অবদানে এই মহান বিজয় অর্জিত হয়েছে সেই সকল মহান বীর শহীদদের চরণে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।












