কক্সবাজার সৈকতে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে পর্যটক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শহরের লাবণী পয়েন্ট উপকূলে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পর্যটক দম্পতি হলেন নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম বকুল (৪২) ও তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সুমা (৩৪)। ট্যুরিস্ট পুলিশ কঙবাজার রিজিয়নের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) জিল্লুর রহমান জানান, রোববার সকালে আবুল কাশেম বকুল (৪২) ও তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সুমা (৩৪) হোটেল সি–গাল পয়েন্টে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে তারা নিখোঁজ হয়ে যান। পরে লাবণী পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে কঙবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
হোটেল সি–গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল ছিদ্দিকী রুমী বলেন, শনিবার সকাল ৯টা ৪০ এ আবুল কাশেম বকুল ও সাবিকুন্নাহার সুমা নামে দুজন পর্যটক দম্পতি আমাদের ৩২৭ নাম্বার কক্ষটি ভাড়া নেন। রোববার সকালে গোসলের উদ্দেশ্যে তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। কয়েক ঘণ্টা পরে শুনি, সাগর থেকে তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এনিয়ে গত ৯ মাসে শহরের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে গোসল করতে নেমে ১ জন নিখোঁজ হয় ও ৮ জন মারা যায়। গত ১২ অক্টোবর শহরের মোটেল শৈবাল পয়েন্ট উপকূলে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে আকরামুল ইসলাম সাজিদ (১৬) ও আরিফ ইসলাম (১৬) নামের দুই স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়। তারা দুজনই কঙবাজার শহরের পৌর প্রি–প্যারাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। ১১ আগস্ট কলাতলী পয়েন্টে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে শাহেদুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যায় এবং এর ৪ দিন পর সোনাদিয়া থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। ১৮ জুলাই লাবণী পয়েন্টে গোসল করার সময় স্রোতে টানে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ মো. আলী তুহিন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। ১ জুলাই শহরের লাবণী পয়েন্ট সৈকতে গোসল করার সময় মোহাম্মদ সাআদ (২৫) নামে এক পর্যটক যুবকের মৃত্যু হয়। ২৪ এপ্রিল শহরের লাবণী পয়েন্ট সৈকতে গোসল করার সময় চট্টগ্রামের এক পর্যটকের মৃত্যু এবং গাজীপুরের হিমেল আহমদ (২৫) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়। ২ দিন পর বাঁকখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।