গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (ক.) ছিলেন অসামপ্রদায়িক চেতনার বাতিঘর

খোশরোজ শরীফে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী

| রবিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক সাধক হযরত গাউছুল আযম মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারীর (:)’র ১৬১তম খোশরোজ শরীফ আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ৩ দিন ব্যাপী কর্মসূচির গতকাল শনিবার প্রধান দিবসে আখেরী মোনাজাতে লাখো ভক্তজনতা অংশগ্রহণ করে। আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন বিএসপি ও লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।

খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলামের সূফিবাদি দর্শন চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে মাইজভাণ্ডার শরিফ। সূফিসাধকরা কখনো মানুষেমানুষে কোনো প্রভেদবিভাজনকে প্রশ্রয় দেন না। তেমনি গাউছুল আ’যম হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (.) মানুষেমানুষে ঐক্যসমপ্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ার দিক নির্দেশনাই দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন অসামপ্রদায়িক চেতনার বাতিঘর। তিনি আজকের সহিংস অশান্ত বিশ্বে শান্তি ও জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে গাউছুল আযম বাবাভাণ্ডারী (.) ও মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের প্রদর্শিত বিশ্বশান্তির রূপরেখা অনুসরণের আহ্বান জানান।

ইসলামী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহ্‌জাদা সৈয়দ মেহবুবমইনুদ্দীন আল্‌হাসানী, নির্বাহী সভাপতি শাহ্‌জাদা সৈয়দ মাশুকমইনুদ্দীন আল্‌হাসানী, শাহ্‌জাদা সৈয়দ হাসনাইনমইনুদ্দীন আল্‌হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী।

হযরত বাবাভাণ্ডারীর (.) জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আন্‌জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সাধারণ সম্পাদক খলিফা শাহ মো. আলমগীর খান, বিএসপি অতিরিক্ত মহাসচিব ও ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, খলিফা মাওলানা হাসান, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্‌সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্‌হাসানী মাইজভাণ্ডারী (মা.জি..)। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেতার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : পেয়ারুল ইসলাম