পটিয়ায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও ধারণ ও সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আবুল মনছুর (৩৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার আবুল মনছুর নগরীর বাকলিয়া থানার ছিদ্দিক কলোনির বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পটিয়া পৌরসভার ওয়াপদা রোড এলাকায় স্বামীর অনুপস্থিতিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন ওই গৃহবধূ। স্বামীর একটি আইনি বিষয়ে সহযোগিতার সূত্র ধরে পরিচয় হয় আবুল মনছুরের সঙ্গে। এরপর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গৃহবধূর বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে মনছুর। ধর্ষণের সময় গোপনে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ধারণ করে রাখে সে। এরপর ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় নগরীর বাকলিয়া থানার ছিদ্দিক কলোনির একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মনছুর। প্রতিবারই সে নতুন করে ভিডিও ধারণ করত এবং সেগুলো ব্যবহার করে ভুক্তভোগীকে হুমকি দিত ও মানসিক চাপে রাখত। সমপ্রতি অভিযুক্ত ব্যক্তি গোপনে ধারণ করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এতে ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, ‘মামলাটি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। অভিযোগটি অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’