গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ মে, ২০২২ at ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। বিস্তীর্ণ সৈকতে সবুজ ঘাসের গালিচা। সেই গালিচার মাঝে বয়ে চলেছে আঁকাবাঁকা নালা, ছোট ছোট গর্ত। একদিকে দিগন্তজোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন। সেখানে কিছু শ্বাসমূলী উদ্ভিদরাজিও রয়েছে। বনের গাছের ছায়ায় বসে সমুদ্র গর্ভে সূর্য ডোবার দৃশ্যটাই মন ভরিয়ে দেয়।

সৈকত বলতে কক্সবাজার, কুয়াকাটা কিংবা পতেঙ্গায় বালুচরের যে দৃশ্য চোখে ভাসে গুলিয়াখালী সে হিসেবে ব্যতিক্রম। পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালির অনন্য অবস্থান দেখা যায় এ সৈকতে। প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। বছরের অন্য সময় বেশ নিরিবিলি এই সৈকতে এখন হাজারো প্রাণের কোলাহল। সম্প্রতি এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে।

স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে আসা খোরশেদ আলম জানান, সমুদ্র সৈকত আরো অনেক দেখেছি, এমন ভিন্ন আবহের সৈকত আর দেখিনি। সত্যিই ভিন্ন রকম সৌন্দর্য রয়েছে এখানে। সবুজের মধ্যে অথৈ জল, কেওড়া বন। কিছুটা সুন্দরবনের আবহ রয়েছে এখানে। দর্শনার্থীদের অনেকেই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন ফুটবল। মেতে ওঠেছেন খেলায়।

সৈকতটি ইতোমধ্যে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই ঈদ মৌসুমে এ সৈকতে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে যা কয়েকগুণ বেশি। এখনও সেই রেশ রয়ে গেছে।

দর্শনার্থীরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে সৈকতটি দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই সৈকতে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। গুলিয়াখালীকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সরকার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। সৈকতটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে অচিরেই সৈকতটি সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানান মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল করিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএয়ারলাইন বেচে দেবে শ্রীলঙ্কা বেতন দিতে ছাপানো হচ্ছে মুদ্রা
পরবর্তী নিবন্ধস্বর্ণের দাম বাড়ল ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা