বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এ গুম–খুনের হোতা ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জনতার সরকার গঠনের মাধ্যমে নজরুল ইসলাম বাচাসহ সকল গুম–খুনের হোতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বেছে–বেছে এক–এক করে জড়িত প্রত্যেকের বিচার করা হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বোয়ালখালীর করলডেঙ্গায় গুমের শিকার বোয়ালখালী বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচা চেয়ারম্যানের বাড়িতে সমবেত এলাকাবাসী ও উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, এখানে কেউ ছাড় পাবে না। এখন তো মাত্র বিদেশের নিষেধাজ্ঞা আসতে শুরু করেছে। অপেক্ষা করেন আরো খবর পাবেন আপনারা। আমেরিকা তো এমনি–এমনি নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এবার কেউ আর রক্ষা পাবে না।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা বাচার বাড়িতে তার পরিবারের খোঁজ–খবর ও সমবেদনা জানাতে এসেছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালে মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে ঢাকা গাজীপুর থেকে বাচা সাদা পোশাকধারীদের হাতে গুম হন। এরপর থেকে তার আর কোনো হদিস পায়নি পরিবার। পরে তিনি নিখোঁজ বাচার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সান্ত্বনা দেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী ইসহাক চৌধুরী, সদস্য সচিব ও গুমের শিকার বাচা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, সাবেক মেয়র হাজি আবুল কালাম আবু, নুরুন্নবী চৌধুরী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।












