যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান। তিনি গুজব সম্পর্কে সচেতন থেকে তাতে কান না দিয়ে সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশও দিয়েছেন। গতকাল শনিবার সেনা সদরে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অফিসার্স অ্যাড্রেস গ্রহণ করার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর–আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাহিনী প্রধান দেশের চলমান পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন এবং সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন। খবর বিডিনিউজের।
কোটা আন্দোলন হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়। এরপর থেকে সেনা সদস্যরা দেশের জেলায় জেলায় মোতায়েন আছে। যে সংগঠনের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলছে, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবার সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, রোববার (আজ) থেকে অসহযোগের আহ্বানও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সেনা সদরে এই অফিসার্স অ্যাড্রেস হয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের আস্থার প্রতীক। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশনা দেন।
অফিসার্স অ্যাড্রেস গ্রহণ করার সময় সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাসহ সব সেনানিবাস থেকে ফরমেশন কমান্ডারগণসহ সব পদবির সেনাকর্মকর্তারা ভিডিও টেলি কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।