বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরে প্রশাসনের গুঁড়িয়ে দেওয়া একটি ইটভাটা আবারও চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি বৈঠকও করেন তারা। জানা গেছে, জনবসতিপূর্ণ রত্নপুরে স্থানীয় নুরুল ইসলামের পুত্র আমিনুল হক ও আজিজুল হক একটি ইটভাটা স্থাপন করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই ইটভাটায় যৌথ অভিযান চালায় ইউএনও মোমেনা আক্তারসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নেওয়াসহ জনবসতিপূর্ণ স্থানে ইটভাটা নির্মাণ করায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ইটভাটার চিমনির কাজে ব্যবহৃত ইট ও অন্যান্য মালামালগুলো ২ লাখ ১৬ হাজার ৩শ টাকায় নিলামে তোলা হয়। তবে নিলামে বিক্রি হওয়া ইট ও অন্যান্য মালামালগুলো সম্প্রতি ক্রেতাদের কাছ থেকে আবারও কিনে নেন ইটভাটার মালিকদ্বয়। এরপর শুরু হয় চিমনি তৈরির কাজ। এদিকে আবারও ইটভাটা চালুর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ দেন স্থানীয় সমাজকর্মী জমির হোসেন। এর প্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখা থেকে বাঁশখালী প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে এখনো এ ধরনের কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন ইউএনও মোমেনা আক্তার। তিনি আরো বলেন, গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটা চালুর ব্যাপারে কোনো ধরনের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক আমিনুল হক বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেছি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. জালালউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইটভাটার কারণে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নষ্ট হবে কৃষি জমির টপসয়েল। ইটভাটার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রমজান মাসে বাহারছড়ায় তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাই কোনো অবস্থাতে ইটভাটা হতে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া যে ভূমিতে ইটভাটা হচ্ছে, ওই স্থানে হিন্দুদের জায়গা ও শ্মশান জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।