গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, হত্যার শিকার শ্রমিকদের পরিবারকে এক জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের ওপর হয়রানি, ছাঁটাই, নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৪টায় দেওয়ানহাট মোড়ে এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহেদুন্নবী কনক, মো. ফরহাদ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মজুরি বোর্ডের সভায় পোশাকখাতে মালিকদের ১২,৫০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। কারণ এ মজুরিতে কোনোভাবেই শ্রমিকদের পক্ষে জীবন নির্বাহ সম্ভব নয়। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকার দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসাথে দেশের সর্বস্তরের শ্রমজীবী, মেহনতি ও সচেতন জনসাধারণের প্রতি এই আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে যেভাবে পুলিশ ও মালিকদের গুন্ডাবাহিনী হামলা করেছে, তা খুবই ন্যক্কারজনক। রাসেল হাওলাদার ও ইমরান নামে দুজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়েছেন। এখনও কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে অনেকের ধারণা। এই রকম পরিস্থিতিতে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের ওপর চলছে হয়রানি, ছাঁটাইয়ের হুমকি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের নির্যাতন। আমরা বলতে চাই, এটা পুরোপুরি একটা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের চেহারা। শ্রমিকদের স্বার্থের পরিপন্থী তৎপরতার মাধ্যমে কখনোই উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। ফলে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও যখন মজুরি বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা না পেয়ে শ্রমিকরা এই আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, তা শতভাগ যৌক্তিক এবং ন্যায্য। তাই অবিলম্বে শ্রমিক হত্যাকারী ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।