যতক্ষণ না গাজায় হামলা ও গণহত্যা পুরোপুরি বন্ধ না হচ্ছে ততক্ষণ ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনো বন্দি বিনিময় হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ–প্রধান সালেহ আল–আরুরি। শনিবার আল–জাজিরা নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, এখন বন্দিদের ইস্যুতে কোনো আলোচনা নেই। হামাসের চূড়ান্ত অবস্থান হলো গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো বন্দি বিনিময় হবে না। খবর বাংলানিউজের।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার শেষ হওয়া সাতদিনের যুদ্ধবিরতির সময় দুইপক্ষ শত শত বন্দি বিনিময় করেছে। তবে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল তার সামরিক আক্রমণ পুনরায় শুরু করেছে গাজায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
হামাস নেতা জোর দিয়ে বলেন, তাদের হাতে বাকি বন্দিদের মধ্যে ইসরায়েলি সেনা ও সাবেক সেনা সদস্য রয়েছে। গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। তবে ফিলিস্তিনি শহীদদের মরদেহ বিনিময় করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ইসরায়েল মনে করছে পুনরায় যুদ্ধ শুরু করে বাকি বন্দিদের মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করবে।
আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হলো যে কোন বিনিময় চুক্তি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর শুধু আলোচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হবে ইসরায়েল।