গাজায় মৃত্যুর মুখে ইনকিউবেটরে থাকা ১২০ নবজাতক

| সোমবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ at ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ইনকিউবেটরে থাকা অন্তত ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭শ’র বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এদিকে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মোট ৪ হাজার ৬৫১ জন নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া অবরুদ্ধ পশ্চীম তীরে নিহত হয়েছেন ৯০ জন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪০০। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৩২ জন। গত মঙ্গলবার রাতে গাজার আলআলআহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া বহু মানুষ হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সম্ভাব্য হামলার আগে গাজার আলকুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ ধরনের অমানবিক নির্দেশকে রোগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আলকুদস হাসপাতালসহ পাঁচটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশের পর আলকুদসসহ মোট ২৪টি হাসপাতাল বোমা হামলার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, হামাস সামরিক অভিযানের সময় বেসামরিক সুবিধা ব্যবহার করে। গাজা উপত্যকার বেসামরিক মানুষদের হামাস মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বলেও আইডিএফ জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিজবুল্লাহ যুদ্ধে এলে লেবাননে ধ্বংস ডেকে আনবে : নেতানিয়াহু
পরবর্তী নিবন্ধরাশেদ রউফ-এর অন্ত্যমিল