গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলা, নিহত ১৯

| বৃহস্পতিবার , ৬ জুন, ২০২৪ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার মধ্যাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নিহত এই ১৯ জনের মধ্যে ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় মানবিক ত্রাণ সুরক্ষায় কাজে নিয়োজিত দুই পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। বাকি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দিয়েরআলবালাহের আলবুরেইজ ও আলমাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায়। খবর বিডিনিউজের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন রাতে আলনুসেইরাত শিবিরের পূর্ব দিকে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো গোলাবর্ষণ করেছে। কিছু বাসিন্দা অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে জানান, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নতুন করে শুরু করা আক্রমণে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, আলমাগাজির কিছু পরিবার ট্যাংকের গোলাবর্ষণের মধ্যেই পালাতে শুরু করেছে আর কাছেই শিবিরের একটি ক্লিনিকে চারটি গোলা এসে পড়েছে। মঙ্গলবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের জঙ্গি বিমানগুলো গাজার মধ্যাঞ্চলে হামাসের লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হানছে আর তাদের স্থল বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আলবুরেইজ এলাকায় বিশেষ বিশেষ লক্ষ্যে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু তারা রাফায় তাদের তৎপরতার সর্বশেষ কোনো তথ্য জানায়নি। গত মাসে শহরটিতে হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। শহরটিতে হামাসের সর্বশেষ অক্ষত যুদ্ধ ইউনিটগুলো রয়ে গেছে আর তাদের নির্মূল করতে সেখানে সীমিত পর্যায়ের অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিল তারা।

প্রায় আট মাস আগে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার অন্যান্য অংশে নির্বিচার হামলা শুরু করলে প্রায় ১০ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি মিশর সীমান্তের শহর গাজায় আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী এ শহরটিতে ট্যাংক নিয়ে স্থল হামলা শুরু করার পর থেকে তাদের অধিকাংশই আবার পালিয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করার পর থেকে তাদের টানা ভয়াবহ হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ নারী ও শিশু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্সফোর্ড কেমব্রিজকে টপকে গেল ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন
পরবর্তী নিবন্ধগণকবর আর লাশে ভর্তি গাজার আল শিফা হাসপাতাল