ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন একটি হাসপাতালে চালানো হামলায়। বৃহস্পতিবার দুই লক্ষ্যে হামলা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের দাবি, সেখানে বেশ কয়েকজন হামাস সদস্য লুকিয়ে ছিল। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর বিডিনিউজের।
একই দিনে গাজার কেন্দ্রস্থলে নুসেইরাত শিবিরের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে আল–আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন প্যারামেডিক ও দুজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ানের নার্সিং বিভাগের পরিচালক ঈদ সাব্বাহ রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আঘাত হানার পর কয়েকজন কর্মী সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। এর আগেও গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল। তবে সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই অভিযানে তারা প্রায় ১০০ সন্দেহভাজন হামাস সদস্য আটক করেছে। হাসপাতালের কাছাকাছি এখনো ইসরায়েলি ট্যাংক মোতায়েন রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হাসপাতালের আশপাশে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সামরিক বাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানের সময় দেখা গেছে কয়েক ডজন সন্ত্রাসী হাসপাতালে লুকিয়ে ছিল, কেউ কেউ হাসপাতালের কর্মী সেজেও ছিল, বৃহস্পতিবারের হামলার পর এক বিবৃতিতে বলেছে সেনাবাহিনী। চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ ওবেইদকে গত শনিবার আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।