চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদে করে যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ২৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ৭ জন। আহতদের পার্শ্ববর্তী ফতেয়াবাদ ক্লিনিকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে আটটায় ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় আসলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে একইদিন বিকালে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে অগ্নিসংযোগ করে। জিরো পয়েন্টে থাকা পুলিশ বক্সের সব জিনিসপত্র জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। বাসভবনে থাকা জিনিসপত্র বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাসেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চৌধুরীহাট এলাকায় রেললাইনের জায়গায় গাছের ডালপালা ঝুলে ছিল। শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট পার হওয়ার সময় ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা ঝুলে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মুখে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। ধাক্কায় বেশ কয়েকজন চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান। পড়ে যাওয়াদের মধ্যে অন্তত ৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে থামলে ছাদে থাকা আহতদের নিচে নামিয়ে আনেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার আজাদীকে বলেন, আমরা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আমাদের উপাচার্য ম্যাডাম ও স্যাররা রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের ঘটনাও শুনেছি। জিরো পয়েন্ট উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পায়নি।