বলিউড তারকা সাইফ আলী খান নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে আইসিউতে রয়েছেন। এর আগে তার শরীরে আড়াই ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসকেরা। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে এক ব্যক্তি অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করে। ধারণা করা হচ্ছে হামলাকারী চুরি করতেই ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। চোর বাড়িতে ঢোকার পর গৃহকর্মীরা চিৎকার শুরু করে। তাতেই ঘুম ভাঙে পতৌদির নবাব পরিবারের ছেলে সাইফের। সে সময় চোর এক গৃহকর্মীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। এরপর সাইফ ওই গৃহকর্মীকে বাঁচাতে গেলে তাকে দেখে ওই চোর অভিনেতার ছোট ছেলের ঘরে ঢুকে পড়ে। বাধা দিতে গেলে সাইফের সঙ্গে চোরের ধস্তাধস্তি হয় এবং তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
হামলার পরপর সাইফ ও অমৃতা সিংয়ের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খান ও বাড়ির কর্মীরা সাইফকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনই লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছিলেন ছয়টি গভীর ক্ষত রয়েছে সাইফের শরীরে, যার মধ্যে মেরুদণ্ডের খুব কাছে ছুরির আঘাতটি বিপজ্জনক।
আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচার : মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের সিইও নীরাজ উত্তমানী গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে সাইফের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সাইফকে আমরা এখন বিপদমুক্ত বলতে পারছি। তার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিনেতার মেরুদণ্ডের কাছে দুইটি গভীর ক্ষত এবং ঘাড়ে চারটি ক্ষত ছিল। তার শরীরে নিউরোসার্জারি এবং একটি প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র–আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ও ক্রিকেটার মনসুর আলি খানের বড় ছেলে সাইফ তার দ্বিতীয় স্ত্রী কারিনা কাপুর এবং দুই ছেলে তৈমুর আলী খান ও জাহাঙ্গীর আলী খানকে নিয়ে বান্দ্রার এই বাড়িতেই থাকেন। কিছুদিন আগে তারা বিদেশ সফর করে দেশে ফিরেছেন। আর ঘটনার রাতে সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর ও দুই ছেলে ওই বাড়িতেই ছিলেন এবং তারা নিরাপদে আছেন।
সকালে এক বিবৃতিতে স্ত্রী কারিনা কাপুর খান বলেছেন, হাসপাতালে সাইফের চিকিৎসা চলছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা ভালো আছে। পুলিশ তাদের তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এ ঘটনায় সাইফের বাড়ির তিনজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।