গতিরোধক বিট শঙ্কা বাড়াচ্ছে ডাকাতির, ৬ লেনের সড়কই সমাধান

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ এপ্রিল, ২০২৫ at ২:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রক্তে রঞ্জিত এলাকা লোহাগাড়া চুনতি জাঙ্গালিয়ায় অবশেষে গতিরোধে বসানো হয়েছে গতিরোধক বিট, সংকেত হিসেবে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা।

৫ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুনতি জাঙ্গালিয়া অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মহাসড়কে বসানো হয়েছে গতিরোধক বিট এবং তাতে সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে যাতে রাতে স্পষ্ট বুঝা যায়, দুপাশে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা, যেটি দিয়ে মূলত বুঝানো হয়েছে বিপজ্জনক এলাকা, সাবধানতার সাথে গাড়ি চালাতে হবে।

সেই গতিরোধক বিট হিতে বিপরীত হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই, কেউ কেউ বলছেন জাঙ্গালিয়া এলাকাটি মহাসড়কের দুপাশেই ঘন জঙ্গল, একপাশে অভয়ারণ্য, অন্য পাশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল, আশপাশে কোন বাড়িঘর না থাকায় এলাকাটিতে রাত হলেই বিরাজ করে সুনসান নিরবতা, এই জনমানবশূন্য এলাকাটিতে মহাসড়কে গতিরোধক বিট বসানোতে ডাকাতির হট জুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এই স্থানে গাড়ি এবং যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল, তারা বলছেন রাস্তার তুলনায় গাড়ি অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, তার সাথে বাঁক, লবন পানি, অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো, সর্বোপরি ৬ লাইনেই একমাত্র সমাধান মনে করছেন তারা।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ আজাদীকে বলেন, উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ শুরু করেছি, ঝুকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে রাস্তার দুপাশে ২ মিটার করে সম্প্রসারণ করে ইটের ব্রিকস দেওয়া হচ্ছে, গতিরোধক বিটে সাদা রং করে দেওয়া হচ্ছে যাতে রাতের বেলা লাইটের আলোতে পরিস্কার বুঝতে পারে, এই মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নিত করণের সমীক্ষা চলমান বলে জানান এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য ঈদের দিন, দ্বিতীয়, তৃতীয় দিনের ধারাবাহিক সড়ক দূর্ঘটনায় মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহতসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত বেবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় দেড় কোটি টাকার মালামালসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধনিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সাতকানিয়া পুলিশের হাতে ধরা